শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

আপডেট
পাকিস্তানকে বিদায়ের শঙ্কায় ফেলে জিম্বাবুয়ের চোখ বাংলাদেশের দিকে

পাকিস্তানকে বিদায়ের শঙ্কায় ফেলে জিম্বাবুয়ের চোখ বাংলাদেশের দিকে

স্পোর্টস ডেস্ক
পাকিস্তানকে বিদায়ের শঙ্কায় ফেলে জিম্বাবুয়ের চোখ বাংলাদেশের দিকে
পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছিল শেষ বলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও শেষ বলে হারের কবলে পড়েছে দলটি। ফলে দলটির সেমিফাইনাল এখন আর নিজেদের হাতে নেই। জড়িয়ে গেছে অনেক যদি-কিন্তুর বেড়াজালে।

তাদেরকে এই পরিস্থিতিতে ফেলেছে যে দল, আগামী ৩০ অক্টোবর সেই জিম্বাবুয়ের মুখোমুখিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দলটির জয়ের নায়ক সিকান্দার রাজা জানালেন, এবার তাদের লক্ষ্য সাকিব আল হাসানদের হারানো।

 

গতকাল পার্থে জিম্বাবুয়ে শুরুতে ব্যাট করে ১৩০ রান তোলে। এই রান তাড়া করতে নেমে একটা বড় সময় ধরে পাকিস্তান ছিল চালকের আসনে। তবে জিম্বাবুয়ে ম্যাচে ফেরে সিকান্দার রাজার করা ইনিংসের ১৪তম ওভারে। সে ওভারে ৮ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়েই জিম্বাবুইয়ানদের ম্যাচে ফেরান তিনি। শেষমেশ জিম্বাবুয়ে ম্যাচটা জেতে ১ রানের ব্যবধানে।

এই জয়ের ফলে জিম্বাবুয়ে ২ ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট অর্জন করে চলে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। যে কারণে সেমিফাইনালের দৌড়ে দারুণভাবে এগিয়ে গেছে দলটি। ওদিকে পাকিস্তান দুই ম্যাচের দুটোতেই হেরে গ্রুপ ২-এর পয়েন্ট তালিকায় চলে গেছে একেবারে তলানিতে।

এই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সিকান্দারকে জিজ্ঞেস করা হয় পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কি না। জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়কের সোজাসাপ্টা উত্তর, প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চায় তার দল। যার সূত্র ধরেই আগামী রোববার বাংলাদেশকে হারাতে চায় দলটি।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোব। আমাদের পুরো মনোযোগটা ছিল পাকিস্তান ম্যাচের উপর। এবার সেটা বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে সরে যাবে।’

বাংলাদেশকে হারাতে আগে সাকিবদের বিশ্লেষণ করতে হবে, জানান রাজা। তার কথা, ‘আমরা যাবতীয় জিনিস বিশ্লেষণ করে দেখব। প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগিয়ে যাব, ইনশাল্লাহ।’

সেই কাজটা যে দল করতে পারবে, এ নিয়ে দলের কোনো সন্দেহই নেই রাজার। সিকান্দারের ভাষ্য, ‘এই দলের ছেলেদের উপর আমার আস্থা আছে। তবে আমরা পুরো গ্রুপটা জমিয়ে দিয়েছি। যে দল ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবে, তারা (ম্যাচ) জিততে পারবে। কেউ জানে না যে কত নম্বরে শেষ করবে।’

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |